খুলনা মহানগরী ও দিঘলিয়া উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা নগরঘাটের ইজারা নিয়ে উত্তেজনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। এর জের ধরে গত ১ জানুয়ারি ইজারাদার শেখ আলী আকবরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুর রহমান মিন্টু ওরফে মিন্টু মোল্লাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ভাই আনছার শেখ বাদি হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গত ৬ জানুয়ারির তারিখে মামলাটি রেকর্ড করা হলেও জানাজানি হয়েছে বুধবার রাতে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রিয়াদুল ইসলাম শিমুল, খান আরিফুল ইসলাম, সবুজ, শরিফুল, মিন্টু শেখ, রাজা, বাদশা, কামরুল। তারাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ ডিসেম্বর শেখ আলী আকবর বিআইডব্লিউটিএ’র কাছ থেকে নগরঘাট ইজারা নেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। গত ১ জানুয়ারি নগরঘাট এলাকায় গেলে ফেরির ওপর তার ওপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি আশংকামুক্ত।
দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শাহীন বলেন, গত ৬ জানুয়ারি মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি ফেরিঘাট এলাকায় হওয়ায় খুলনা সদর নৌ থানা পুলিশের এস আই রবিউল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুর রহমান মিন্টু বলেন, ঘাটটি জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ছিল। আলী আকবর বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে যোগসাজশ করে এক ফেরি লোক নিয়ে ঘাট দখল নিতে এসেছিল। তখন স্থান স্থানীয়দের সঙ্গে কিছুটা হাতাহাতি হয়। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। অযথা আমাকে আসামি করেছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়